শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

ওষুধ ভেজালকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেক্স
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ৭৪ সময় দর্শন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানিয়েছেন, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭২-এ ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধানও রয়েছে। রোববার (৭ নভেম্বর) সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের জনগুরুত্বপূর্ণ বিধি ৭১ এ আনীত এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হয় এবং প্রায় ৬৩টি দেশে তা রপ্তানি করা হচ্ছে।

তবে, ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে থাকে ওষুধ প্রশাসন। ওষুধ প্রশাসনের অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে কেউ নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করতে না পারে। ওষুধে ভেজাল হলে রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হবে তো বটেই। শুধু তাই নয়, তার কিডনি ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে, নানাধরনের সমস্যা দেখা দেবে। এসব প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এরই মধ্যে ওষুধ ভেজালকারীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে ‘দি ড্রাগস অ্যাক্ট-১৯৪৮, ড্রাগস অর্ডিনেন্স-১৯৫৮ রোহিতকল্পে ওষুধ আইন-২০২২ এ একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ আইনে ধারায় যারা লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করবে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেটে বা যেকোনোভাবে ওষুধ বিক্রি করে তার জন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা আছে। আর যদি লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি করে তার জন্য ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ওষুধ প্রশাসন দ্বারা ড্রাগ আদালতে ১০১টি, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০০টি, ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায় আট হাজার মামলা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা, কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ২০০ জনকে। ওষুধ জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকার।

জাহিদ মালেক বলেন, ওষুধ প্রশাসনকে শক্তিশালী করার জন্য জনবল কাঠামো বাড়িয়ে ৩০০ থেকে ১ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ড্রাগ পরিদর্শক আছেন, তারা এগুলো সবসময় পর্যবেক্ষণ করছেন। ফার্মেসিগুলো ভিজিট করছেন। ওষুধের মাননিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি শহরে ল্যাব রয়েছে। সেখানে বাজার থেকে ওষুধ এনে পরীক্ষা করা হয়। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ বাদে অন্য ওষুধ (যেমন- হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ ও ইউনানি) সব ওষুধ পরীক্ষা ও মান নির্ণয় করা হয়। এ বিষয়ে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেখানে আড়াই লাখ মামলা ও ১৩৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ভেজাল ওষুধ তৈরির জন্য ২০টি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। তবে ভোজাল ওষুধ তৈরি, বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, ভেজাল ওষুধ আমদানি করা না হয় তার জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ’

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71